মিতিনমাসি সমগ্র ১

By:

Format

হার্ডকভার

Country

ভারত

550

‘মিতিনমাসি সমগ্র ১’ বইয়ের ভূমিকাঃ
আমি যে কখনও গোয়েন্দা কিংবা রহস্য গল্প লিখব, এমনটা ভাবিইনি। তবে হ্যাঁ, পাঠক হিসেবে গোয়েন্দা কাহিনি। কিন্তু আমাকে টানত খুব। সেই ছেলেবেলা থেকেই। ব্যোমকেশ বক্সি, শার্লক হোমস, এরকুল পোয়ারো, এমনকী ঘনাদার তুখোড় রহস্য-সন্ধানী রূপটা আমায় দারুণ রোমাঞ্চিত করেছে তখন। গোয়েন্দার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির পেছন পেছন আমার মগজও যে প্রাণপণ ছুটত, এ তো স্বীকার করতেই হবে।
তবে একথাও ঠিক, একটা প্রশ্নও তখন থেকেই উঁকিঝুঁকি দিত মনে। এত যে সব বিখ্যাত বিখ্যাত গোয়েন্দা, সকলেই পুরুষ কেন? আগাথা ক্রিস্টির মতো দুঁদে গোয়েন্দালেখক নিজে মহিলা হয়েও, মিস মাৰ্পলের কয়েকটি কাহিনি ছাড়া, কেন একজন পুরুষকেই বেছেছেন তাঁর গোয়েন্দা চরিত্রে? তবে কি লেখক এবং পাঠক-পাঠিকারা নিজেদের অজান্তেই ধরে নিয়েছেন, গোয়েন্দা হওয়ার মতো বুদ্ধিশুদ্ধি মেয়েদের নেই? ক্রিমিনালদের কবজা করতে একজন গোয়েন্দাকে নানানরকম বিপদ আপদেও পড়তে হয়। মেয়েরা কি ওই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার যোগ্য নন? গোয়েন্দা মানে কি তবে শুধুই হি-ম্যান? বুদ্ধিদীপ্ত ম্যাচো ইমেজ কি ছেলেদেরই একচেটিয়া সম্পত্তি?
এই মধ্যযুগীয় ধারণা হঠাতেই আমার গোয়েন্দা প্রজ্ঞাপারমিতা তথা মিতিনের আবির্ভাব। কিশোর-কিশোরীদের কাছে যে মিতিনমাসি। আমি মিতিনকে সৃষ্টিছাড়া বীরাঙ্গনা রূপে আঁকতে চাইনি, বরং আজকালকার দিনের একজন শিক্ষিতা বুদ্ধিমতী সাহসী অথচ ঘরোয়া গৃহবধূ হিসেবেই সৃষ্টি করেছি সাধ্যমতো। যে কিনা ছেলেকে হোমটাস্কও করায়, প্রয়োজনে রান্নাবান্নাও করে, আবার ব্যাগে রিভলভার পুরে খুনে-বদমাশদের সে ধাওয়াও করে অনায়াসে। এবং রহস্য উন্মোচন তার পেশা তো বটেই, নেশাও।
আরও একটা চেষ্টা করেছি। সচেতনভাবে। মিতিনমাসির রহস্য কাহিনি…

সূচি
সারান্ডায় শয়তান – ১
জোনাথনের বাড়ির ভূত – ১১৩
কেরালায় কিস্তিমাত – ২২৭
সর্প-রহস্য সুন্দরবনে – ৩২৭
ঝাও ঝিয়েন হত্যারহস্য – ৪১১
ছকটা সুডোকুর – ৪৯১
গ্রন্থ-পরিচয় – ৫৬৯