মাল্যবান

By:

375

১৯৪৮-এর আর্দ্র গরমে লেখা পুরো মাল্যবান উপন্যাসটি জুড়েই অপ্রেমের ভারী শীত! সেই নীল শৈত্য, সেই বিষণ্ণ ভার পাঠকের গহনে এত অনিবার্যভাবে চারিয়ে দেন জীবনানন্দ—অথবা মাল্যবান—পাঠক আমূল শিহরিত হয়ে ওঠেন। এমনিতেই এ-উপন্যাসে বড্ড তাড়াহুড়োর ছাপ, বানান বা ব্যাকরণের স্খলন ঘটছে বারংবার, শূন্যস্থান ছেড়ে রাখছেন পরে কিছু লিখবেন বলে—বোঝাই যাচ্ছে, পাণ্ডুলিপিগুলির পরিমার্জনা করবেন এমন পরিকল্পনা তাঁর আছে। মৃত্যুর আগে তা আর হয়ে ওঠেনি। এই অপরিমার্জিত মাল্যবান খাতাগুলি থেকে নেমে সরাসরি পাঠকের সামনে এসে দাঁড়ালে পাঠক কিছুটা অপ্রস্তুতও হয়ে পড়েন বটে। উপন্যাসটি পড়তে বসে তিনি মাল্যবান পাঠের জন্য নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিতে বাধ্য হন। এবং সে-প্রস্তুতির শর্ত হিসাবেই এর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি শূন্যস্থান, প্রতিটি ইঙ্গিত, এমনকী প্রতিটি স্খলনকেও বুঝে নিতে মূলপাঠকে অনুসরণ করাটা আমাদের কাছে জরুরি হয়ে ওঠে।

 

জীবনানন্দ দাশের ১২৫ বছরে মাল্যবান-এর পাণ্ডুলিপির এই মূল-অনুসারী পাঠ প্রকাশ করে প্রতিক্ষণ তার জীবনানন্দ-কাজের  নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

Writer

Publisher

0 reviews
0
0
0
0
0

There are no reviews yet.

Be the first to review “মাল্যবান”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 2 3 4 5
1 2 3 4 5
1 2 3 4 5