ভারত প্রেমকথা

By:

Format

হার্ডকভার

Country

ভারত

400

“ভারত প্রেমকথা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ধ্রুপদী সাহিত্যের রূপ ও ভাব খণ্ডকালের সমধ্যে সীমিত নয়। পৃথিবীর অন্যান্য ক্লাসিক সাহিত্যের কালােত্তর প্রেরণার শক্তিতে সঞ্জীবিত হয়ে আছে কবি বাল্মীকির রামায়ণ এবং ব্যাসদেবের মহাভারত। এই সাহিত্যকীর্তিগুলির মধ্যে মানবজীবনের চিরকালীন আনন্দ ও বেদনার ব্যাকুলতা বাত্ময় হয়ে আছে। এই মহাপ্রাণময় দুটি মহাকাব্য, মানুষের মনের আকাশে নিত্যনতুন আলােকের প্রসন্নতা ছড়ায়। যুগ যুগান্তরের কবি-শিল্পীরা প্রাচীন এই কাব্যগাথা থেকে নতুন কিছু সৃষ্টি করার প্রেরণা পেয়েছেন। আবার ক্লাসিকের রূপ ও ভাবের ভাণ্ডার থেকে আহৃত উপাদান নিয়ে রচিত এই নতুন সৃষ্টিগুলি আধুনিক সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে, পুরাতনের পুনরাবৃত্তি হয়নি। পৃথিবীর অন্যান্য ধ্রুপদী সাহিত্যের তুলনায় মহাভারতের আরও একটি বৈশিষ্ট্য আছে। মূলকাহিনী ছাড়াও এমন শত শত উপাখ্যানে এই মহাকাব্য আকীর্ণ যার মূল্য আজও মিথ্যে হয়ে যায়নি, যার আবেদন আজও ব্যর্থ হয়নি। যেমন মহাভারতের বিচিত্র প্রেমকাহিনীগুলি সর্বযুগের নরনারীর প্রণয় ও অনুরাগের অমর চিত্ররূপ। এইসব প্রেমােপাখ্যানের মধ্যে কয়েকটি বহুল প্রচলিত। কয়েকটি পাঠকসমাজে তেমন প্রচার লাভ করেনি। এইসব অল্প-প্রচারিত কাহিনীও প্রেমের রহস্য, বৈচিত্র্য ও মহত্ত্বের এক একটি বিশেষ রূপের পরিচয়। ভারত প্রেমকথা’র কুড়িটি গল্প এই রকমই কয়েকটি মহাভারতীয় প্রণয়কাহিনীর পুনর্গঠিত বা নবনির্মিত রূপ। প্রতিটি কাহিনী লেখকের মনীষা ও শিল্পনির্মিতির পরিচয় বহন করছে। বহন করছে নর-নারীর প্রেম যে এক সুসহ রহস্য— এই চিরন্তন সত্যটি। প্রমথনাথ বিশীর ভাষায় “কাহিনীগুলি কেবল ভাবের বাহন মাত্র নয়, নিজ মূর্তিতে সমুজ্জ্বল ও নিজ প্রাণে সঞ্জীবিত। প্রাচীন কাহিনীর আধারে সুবােধবাবু চিরকালীন সুখ-দুঃখের ও হাসি-অশ্রুর অমৃত পরিবেষণ করিয়াছেন। এগুলি জ্ঞানের বস্তু নয়, জীবনের সামগ্রী।”