নরনারী কথা

By:

Format

হার্ডকভার

Country

ভারত

200

‘নরনারী কথা’ বইয়ের ফ্লাপের লেখা
রতনের জ্যাঠততাে দাদা পরাণ অনেকদিন হল বাউল হয়ে ঘর ছেড়েছে। বলা নেই। কওয়া নেই, হঠাৎ মারিয়া নামের এক মেমসাহেবকে সাধনসঙ্গিনী করে বাড়িতে এনে তুলেছে পরাণ। একটি প্রথাগত পরিবারে এই নারী এসে যেন উলটপালট করে দিল নরনারীর জীবনকাহিনী। রতনকে একলা পেয়ে আচমকা তার ঠোটে চুম্বন এঁকে দিল মারিয়া। রতনের কাছে এ এক গ্লানি। সে এখন সাম্যবাদী পার্টির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। পার্টির ছেলে সাম্যবাদ নামক এক স্বপ্নে রতন বিভাের। চুম্বনের গ্লানি সত্ত্বেও তার ভেতরে জেগে ওঠে এক নিষিদ্ধ আনন্দের সূচীমুখ। রতনের চারপাশে নানা ছাঁদের অক্ষরে লেখা হতে থাকে জীবনের গল্প। তার চিরদুঃখী মদ্যপ বাবা অভিরাম, যাত্রার নায়ক মনােজকুমারের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া তার মা সাবিত্রী, বড়দিদি রত্না, রত্নার বান্ধবী মধুরা ও মধুরার স্বামী বিমান এবং আরও অনেকে দীর্ঘদেহী রতনের যৌবনতরঙ্গের গল্পে যেন দুলতে থাকে। সকলের সঙ্গে তার সম্পর্ক রচিত হচ্ছে। আবার ব্যবসা, পারিবারিক বন্ধন ও পার্টি এই তিনটিকে নিয়ে রতন সােজা এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। গােপালগঞ্জের মহেন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে দলের মিটিংয়ের শেষে দেখা হওয়ার পর থেকেই রতনের জীবনের গল্প বাঁক নিল অন্য খাতে। মহেন্দ্রর মেয়ে কেন এগিয়ে এসে রতনকে। বলল, আমি হৈমন্তী কী বলতে চেয়েছিল। বিপন্ন মেয়েটি? শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায়ের মরমী উপন্যাস নরনারী কথায় তারই উত্তর।