নন্দনতত্ত্ব-জিজ্ঞাসা

“দ্য ওয়াণ্ডারার’স নেকলেস” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
নন্দনতত্ত্ব-জিজ্ঞাসা ছাড়া কারাের সাহিত্যপাঠ ও উপলব্ধি সম্পূর্ণ হতে পারে না। সুন্দর কী, সুন্দর কেন, এই জিজ্ঞাসার উত্তর দেয় নন্দনতত্ত্ব কিংবা সৌন্দর্যতত্ত্ব। সাহিত্যপাঠে আমরা কেন আনন্দ পাই জানতে হলেও নান্দনিক বােধ দরকার। বাক্য কীভাবে রসাত্মক ও কাব্য হয়ে উঠল তা জানার জন্য নন্দনতত্ত্বের দ্বারস্থ হতে হয়। অথচ বাংলা সাহিত্যে, বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ নন্দনতত্ত্বের বই নেই। যা পাওয়া যায় তা-ও ‘দুর্দান্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ’, জটিল, দুরবগাহ, তর্কপরায়ণ। দীক্ষিত পাঠক ছাড়া তার মর্মোদ্ধার সম্ভবয়।
|এই সমস্যা ও সাধারণ পাঠকের কথা ভেবেই বর্তমান সংকলন প্রস্তুত করা হয়েছে। বিপুল পরিশ্রমে সম্পাদক লেখাগুলি সংগ্রহ ও বিন্যস্ত করেছেন। যা থেকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য মনীষার, নন্দনতত্ত্বচিন্তার সহজবােধ্য, সংহত ও প্রায় সম্পূর্ণ রূপরেখা পাঠক পেয়ে যাবেন। পঁয়ত্রিশটি প্রবন্ধে একালের সুযােগ্য, ধীমান অধ্যাপক, গবেষক ও সাহিত্যিকেরা নন্দনতত্ত্ব-জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজেছেন। যা বাংলা সাহিত্যের রূপ-রস-রীতির ভৌগােলিক সীমাকে আরেকটু প্রসারিত করবে, মনে হয়। এমন একটি গ্রন্থের প্রকাশ তাই জরুরী ছিল। সকল পাঠক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীর কাছে এই গ্রন্থ সমাদৃত হবে—সম্পাদক ও প্রকাশকের প্রত্যাশা।